১০ হাজার টাকায় ৭ টি ছোটো ব্যবসার আইডিয়া। প্রথম দিন থেকেই লাভ, কম পুঁজিতে ব্যবসা দারুন লাভ :

বর্তমান সময়ে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা, তবে স্বনির্ভর হওয়ার অসংখ্য সুযোগও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন ব্যবসা শুরু করতে গেলে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়, কিন্তু বাস্তবে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েই ছোটখাটো লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের শহর ও গ্রামের প্রেক্ষাপটে, এখানে এমন ৭ টি ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হলো যা আপনাকে স্বল্প বিনিয়োগে ভালো লাভ করতে সাহায্য করবে।

১০ হাজার টাকায় ৭ টি ছোটো ব্যবসার আইডিয়া।


১. চায়ের দোকান

কিভাবে শুরু করবেন:

রাস্তার ধারে বা বাজারের ব্যস্ত জায়গায় ছোট একটি স্টল দিন।

প্রয়োজনীয় উপকরণ (চা-পাতা, দুধ, চিনি, কাপ, কেটলি) কেনার জন্য পাইকারি বাজারে যান।

প্রথম দিকে ১০-১৫ রকমের চা না রেখে সাধারণ লাল চা ও দুধ চা দিয়ে শুরু করুন।

গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী স্বাদ ও দাম ঠিক করুন।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৭,০০০-১০,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: স্থানীয় বাজার, অফিস এলাকার সামনে, বাসস্ট্যান্ড বা ট্রেনস্টেশনের পাশে।

প্রত্যাশিত উপার্জন: দৈনিক ৫০০-১৫০০ টাকা।


২. ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রি

কিভাবে শুরু করবেন:

মোবাইল স্টল বা একটি ঠেলাগাড়ি কিনুন।

পাইকারি বাজার থেকে মশলা, মুড়ি, ছোলা, আলু, তেঁতুল ইত্যাদি সংগ্রহ করুন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে খাবার প্রস্তুত করুন এবং কাস্টমারদের আকর্ষণ করতে কিছু অফার দিন।

নির্দিষ্ট সময়ে ভিড় হয় এমন জায়গায় বিক্রি করুন, যেমন স্কুল-কলেজ, পার্ক, মেলা ইত্যাদি।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৫,০০০-৮,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: স্কুল, কলেজ, হাট, বাজার, ব্যস্ত রাস্তার মোড়।

প্রত্যাশিত উপার্জন: দৈনিক ৭০০-২০০০ টাকা।


৩. কসমেটিক্স ও গিফট আইটেমের দোকান

কিভাবে শুরু করবেন:

পাইকারি বাজার (বড়বাজার, বারাসাত, হাওড়া) থেকে কম দামে কসমেটিক্স ও গিফট আইটেম কিনুন।

নিজের বাড়ির এক অংশে বা রাস্তার ধারে একটি ছোট দোকান খুলুন।

হোম ডেলিভারি ও অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করুন।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৮,০০০-১০,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: গ্রাম ও শহরের মহিলা ও কিশোরীদের মধ্যে বেশি চাহিদা।

প্রত্যাশিত উপার্জন: মাসিক ১০,০০০-৩০,০০০ টাকা।


৪. মোবাইল রিচার্জ ও এক্সেসরিজ দোকান

কিভাবে শুরু করবেন:

মোবাইল রিচার্জ ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মোবাইল কভার, চার্জার, হেডফোন ইত্যাদি পাইকারি দামে কিনুন।

নিজের গ্রামে বা শহরে একটি ছোট দোকান নিন।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৮,০০০-১০,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: শহর ও গ্রামের প্রত্যেকটি এলাকায় মোবাইল এক্সেসরিজের চাহিদা রয়েছে।

প্রত্যাশিত উপার্জন: দৈনিক ৫০০-২০০০ টাকা।


৫. স্টেশনারি ও ফটোকপি সেন্টার

কিভাবে শুরু করবেন:

স্কুল-কলেজের সামনে বা কোনো অফিসের পাশে দোকান নিন।

খাতা, কলম, পেন্সিল, ফাইল ইত্যাদি কম দামে পাইকারি বাজার থেকে কিনুন।

২য় হাতের প্রিন্টার বা জেরক্স মেশিন কিনে নিলে ভালো লাভ হবে।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ১০,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে চাহিদা বেশি।

প্রত্যাশিত উপার্জন: দৈনিক ৫০০-১৫০০ টাকা।


৬. মশলা প্রস্তুতি ও বিক্রি

কিভাবে শুরু করবেন:

স্থানীয় পাইকারি বাজার থেকে কাঁচা হলুদ, ধনে, জিরে, মরিচ কিনুন।

মসলা শুকিয়ে নিজে পিষে বা মিল থেকে গুঁড়ো করে প্যাকেট করুন।

স্থানীয় দোকান, অনলাইন বা পরিচিতদের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করুন।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৫,০০০-৮,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: গৃহিণী, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন।

প্রত্যাশিত উপার্জন: মাসিক ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।


৭. হোমমেড খাবার ডেলিভারি

কিভাবে শুরু করবেন:

অফিস এলাকা বা ব্যাচেলরদের বাসার কাছাকাছি টিফিন ব্যবসা শুরু করুন।

স্বল্প মূল্যে খাবার বানিয়ে প্রতিদিন ডেলিভারি করুন।

সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার নিন।

প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৮,০০০-১০,০০০ টাকা।

বাজার কোথায় পাবেন: ব্যাচেলর, কর্মজীবী, ছাত্রছাত্রী।

প্রত্যাশিত উপার্জন: দৈনিক ৭০০-২০০০ টাকা।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url